ছেলেদের জীবন ইতিহাস

ছেলেদের জীবন ইতিহাস

®®ছেলেদের জীবন ইতিহাস®®

মেয়েরা ভাবে ছেলেদের জীবন কত সুন্দর, 
তারা চাইলে স্বাধীন ভাবে ঘুরতে পারে।
আড্ডা দিতে পারে।
রাত বিরাতে বাড়ি ফিরতে পারে
যা ইচ্ছা তাই করতে পারে।
মেয়েরা চাইলে তা পারেনা,
যত নিয়ম কানুন সব 
মেয়েদের জন্য বাধা।
আজ সব মেয়েদের বলতে চাই 
স্বাধীন ভাবে ঘুরা
রাত্রে বাড়ি ফেরা,
কিংবা পাড়ার দোকানে
সিগারেট জ্বালিয়ে ধোঁয়া 
ওড়ানোই ছেলেদের জীবন না!


ছেলেদের জীবন মানে সংগ্রাম
যে সংগ্রাম এর চিহ্ন লেগে থাকে
লোকাল বাসের হাতলে,
ছিড়া জিন্সের পকেটে
ছিঁড়া জুতোর তলায়,
মেয়েরা জন্ম নেওয়ার পরেই
বাবা মা স্বপ্ন দেখে
ভালো কোন রাজকুমারের 
হাতে তুলে দিবে।
ছেলের বেলায় তা হয় না
ছেলেদের জন্মাবার পরে
মাথায় বীজ ঢুকিয়ে দেয়া হয়
প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
আদর্শলিপি বই হাতে দিয়ে
আর ফুঁ দিয়ে বোঝানো হয়
প্রতিষ্ঠিত না হতে পারলে
কপালে সুন্দরী বধু নেই
বাড়ি নেই গাড়ি নেই কিছুই নেই।
একটু বড় হতে না হতেই
মেয়েরা সুন্দরী হওয়ার
প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। 
স্নও কিউট মেকাপ
বক্স চুড়ি শাড়ি তাদের
নিত্যানন্দ দিনের সঙ্গী হয়
ছেলেদের বেলায় তা হয় না
সৌন্দর্য ছেলেদের ফ্যাক্ট না।
ছেলেদের সংগ্রাম করতে হয়
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য। 
দেখতে সালমান খান
কিংবা শাহরুখ খানের মতো
দেখতে সুদর্শন ছেলেরাও
প্রতিষ্ঠিত না হতে পেরে
অনাদরে পড়ে থাকে
জারজ সন্তানের মতো।
প্রতিষ্ঠিত না হতে পারলে
ছেলেদের জীবনে প্রেম টিকে না
প্রিয়তমা থাকে না।
পাশের বাড়ির গীতা মিতারাও
পাশ কাটিয়ে চলে যায়,
অন্য কারো হাত ধরে। 
এযুগের মেমসাহেবেরা নিরাপদ 
আশ্রয় খোঁজে না।
খোঁজে সচ্ছল আশ্রয়। 
তারা চায় শাড়ি গাড়ি বাড়ি
আর অফিস ফেরত স্বামী। 
এইসব পুরণ করতেই
ছেলেদের সংগ্রাম করতে হয়। 
ছেলেদের সংগ্রাম করতে হয় 
বাবা-মার মুখ উজ্জ্বল করতে।
পরিবারের দায়িত্ব নিতে।
পরিবারের সবাইকে খুশি রাখতে।
এমনকি স্ত্রীদের একটা জন্মনিয়ন্ত্রণ 
পিল কিনা থেকে শুরু করে
সন্তানের উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত
সবকিছুর জন্যই সংগ্রাম 
করতে হয় ছেলেদের। 
মেয়েরা কিছু না পারলেও
সমাধান আছে বিয়ে দিয়ে দেওয়া।
সেই বিয়ে আবার
এলেবেলে কোন ছেলের সাথে না,
ঘরবাড়ি ভালো আছে,
মেয়ে চালাতে পারবে,
সুখে রাখতে পারবে,
এরকম কাউকে। 
আর ছেলেদের কিছু না
কিছু করতেই হবে।
জীবিকার জন্য ছুটতে হয়,
পৃথিবীর এক প্রান্ত
থেকে আরেক প্রান্তে।
ছেলেরা স্বাধীন ভাবে চলতে পারে
হয়তো,কিন্তু স্বাধীন ভাবে
কিছু ভাবতে পারে না।
মায়া-মমতা পিছুটান এগুলো 
তাদেরকে পরাধীন করে তোলে।
পর্যাবৃত্ত গতির মতো
বারবার ছুটে ফিরে আসতে হয়,
নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্যের কাছে।
সবাই বলে মেয়েরা বড় অসহায়, 
আমি বলি ছেলেরা।
তাদের চাইতে বড় অসহায় 
আজকাল আর কেউ নেই।
তারা শুধু ত্যাগ স্বীকার করতে জানে।
অন্যকে সুখী রাখার জন্য
দিনের পর দিন নীরবে 
চোখের পানি ঝরাতে পারে।

Post a Comment

0 Comments